প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

image-not-found

১৯৮৪ সালে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের আর্থিক, মানসিক সহযোগিতায় ও জমি প্রদানের মাধ্যমে গজারিয়া কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। কলেজটি ১৯৮৫ সনের ১লা জুলাই জাতীয়করণ করা হয়। কলেজটি সরকারি ঘোষণা করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ। এ কলেজটি প্রতিষ্ঠা ও সরকারিকরণে জনাব মো. মোয়াজ্জেম হোসাইন খান (অধ্যক্ষ) ও প্রকৌশলী মেজর মো. জসিমউদ্দিন (অব.) সার্বিক সহযোগিতা, অক্লান্ত পরিশ্রম ও অর্থ ব্যয় করেন। কলেজে জনাব মো. শামসুদ্দিন চৌধুরী, জনাব মো. আমিরুল হক চৌধুরী, জনাব মো. জালাল উদ্দিন চৌধুরী, জনাব মো. জহিরুল হক চৌধুরী, জনাব মো. আ. হাই চৌধুরী ১৬২ (একশত বাষট্টি) শতাংশ জমি দান করেন। কলেজ প্রতিষ্ঠালগ্নে জনাব মো. নুরুল আমীন, জনাব ডি.এম. হাছান গাজী, জনাব মোয়াজ্জেম হোসাইন খান, জনাব জসীমউদ্দিন, আলহাজ মো. আক্রাম আলী মিয়াজী, জনাব মো. মতিউর রহমানগণ বিভিন্ন অস্থাবর সম্পত্তি দান করেন। বাংলাদেশে বিজ্ঞান শিক্ষা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে সরকারি কলেজসমূহে বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় শিক্ষাবান্ধব বর্তমান সরকারের সার্বিক সহযোগিতায় এই কলেজে ছয় তলা বিশিষ্ট একটি সুন্দর, সুসজ্জিত এবং নান্দনিক বিজ্ঞান ভবন ২০২০ সালে নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে ২০২১ সালে সম্পন্ন হয়। এতে এ অঞ্চলে বিজ্ঞান শিক্ষা সম্প্রসারিত হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বর্তমান পর্যন্ত গজারিয়া সরকারি কলেজে বিভিন্ন সহযোগিতা প্রদানকারী দানশীল ও সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ এবং সরকারের অবদান কলেজ প্রশাসন এবং গজারিয়াবাসী শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে।

অধ্যক্ষের বাণী

image-not-found

মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে গজারিয়া সরকারি কলেজ অবস্থিত। ছায়াঘন মনোমুগ্ধকর নিরিবিলি পরিবেশে ফুলদি নদীর তীরে কলেজটির অবস্থান। প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য শিক্ষার আলোকবর্তিকা প্রজ্জ্বলনের উচ্চাকাঙ্ক্ষায় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ১৯৮৪ সালে এ কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮৫ সালের ১লা জুলাই এ কলেজটিকে জাতীয়করণ করা হয়। কলেজটিতে উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পাস (BSS & BBS) পর্যায়ে পড়াশুনার সুযোগ রয়েছে। কলেজে আছে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, পর্যাপ্ত পুস্তক সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, খেলাধুলা, বিনোদন ও সংস্কৃতি চর্চার সুযোগ। মূল্যবোধ জাগ্রত রাখতে রয়েছে ধর্মীয় শিক্ষা, শহীদ মিনার, ছাত্র-ছাত্রীদের পৃথক কমন রুম ও শরীর চর্চার ক্ষুদ্র প্রয়াস। এ ছাড়াও কলেজে রোভার স্কাউটিং কার্যক্রম চলমান রয়েছে। শিক্ষাবান্ধব বর্তমান সরকারের সহযোগিতায় তৈরি হয়েছে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত ৬ তলা বিশিষ্ট একাডেমিক বিজ্ঞান ভবন। এ ছাড়া পুরাতন একাডেমিক ভবনের ৪র্থ তলার ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কলেজে বিভিন্ন বিষয়ে অনার্স শ্রেণি খোলার জন্য পদ সৃষ্টির কাজ চলমান। কলেজে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য রয়েছে সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা ও অভিজ্ঞ শিক্ষকদের সমন্বয়ে গঠিত দক্ষ ভিজিল্যান্স টীম। বিজ্ঞ, অভিজ্ঞ ও উৎসাহী শিক্ষক মণ্ডলী, নিষ্ঠাবান শিক্ষার্থী, সকল স্তরের কর্মচারী, অভিভাবক ও স্থানীয় শিক্ষানুরাগীদের সহযোগিতায় এবং সরকারি আনুকূল্যে শিক্ষার পরিবেশ আরও উন্নত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ভর্তিকৃত ছাত্রছাত্রীদের জন্য রয়েছে সময়োপযোগী ও গঠনমূলক কর্মপরিকল্পনা যা তাদের ও সরকারের লক্ষ্য ‘ভিশন ২০৪১’ পূরণে কাজ করবে। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়া এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ সুনাগরিক গড়ে তোলার লক্ষ্যে অত্র কলেজ প্রশাসন তার নিরবিচ্ছিন্ন শিক্ষা প্রদান কার্যক্রম এবং উন্নয়ন কর্মসূচী চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর।